সিরাজগঞ্জে কিছুটা কমছে কমেছে যমুনা নদীর পানি। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। প্রতিবছরই বন্যার কবলে পড়ে এই অঞ্চলের মানুষ। এরমধ্যে বন্যার প্রাণ হারিয়েছে অনেকে। পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। বন্যার পানি কমলেও পানিবাহিত রোগের কারণে মানুষ এখনো বিপর্যস্ত।
এদিকে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পানিবাহিত নানা রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত নানা রোগ ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, পেটের পীড়া, কৃমির সংক্রমণ ও চর্মরোগ হয়। এজন্য মানুষের স্বাস্থ্য সচেতন থাকা খুবই প্রয়োজন।
কাওয়াকোলা ইউনিয়নের মুজিব কেল্লা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া শরিফা বেগম বলেন, প্রায় ১০ দিন ধরে বন্যাকবলিত হয়ে আছি। এখানে বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই পান করছেন নদীর পানি। ফলে ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রাম পদ রায় বলেন, বন্যায়কবলিত মানুষদের নানা ধরনের রোগ হতে পারে, এজন্য আমরা সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করেছি। এছাড়াও আমরা বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য মেডিকেল টিম গঠন করেছি। তারা বিভিন্ন উপজেলায় গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে সেবা প্রদান করছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের গেজ রিডার হাসান মামুন বলেন, বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি কমছে। আরো কমবে এই পানি।