কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিয়ের একদিন পর সাহিদা আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ জুলাই) উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কটপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, শুক্রবার সাহিদা আক্তারের বিয়ে হয়। সাহিদা কটপাড়া গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী মিজানুর রহমানের মেয়ে ও স্থানীয় কাদৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার লালমাই উপজেলার মিতল্লা গ্রামের প্রবাসী ফারুক মিয়ার ছেলে আল-আমিনের সঙ্গে সাহিদার বিয়ে হয়। শনিবার আল-আমিনের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে স্বজনরা সাহিদা আক্তারকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এদিন রাতে আল-আমিন শ্বশুরবাড়িতে প্রথমবার বেড়াতে আসেন। পরে রাতের খাবার শেষে নবদম্পতি ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার সকালে সাহিদার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা।
সাহিদার স্বামী আল-আমিন বলেন, ‘শনিবার রাতের খাবার শেষে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। রোববার সকালে নানি শাশুড়ির চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখি সাহিদা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত দুই দিনে আমাদের মাঝে কোনো ধরনের বাকবিতণ্ডা হয়নি। সে বিয়ের দিন থেকে চুপচাপ ছিল। কী কারণে আত্মহত্যা করেছে জানা নেই।’
সাহিদার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আপু নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখায় মেধাবী ছিল। প্রায় ৮ বছর আগে আমার মা মারা যায়। পরে আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মা মুন্নি বেগম কারো সঙ্গে পরামর্শ না করেই শুক্রবার বোনকে জোর করে বিয়ে দেন। এ বিয়েতে আপুর মত ছিল না।’
সাহিদার সৎ মা মুন্নি বেগম বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সাহিদা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কী কারণে করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’