সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধ, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনেছবি: নুতন শেখ
সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা বন্ধ, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। আজ সোমবার গোপালগঞ্জ বাজার ব্রিজ থেকে এলজিইডির মোড় পর্যন্ত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। এ কর্মসূচির আয়োজন করে গোপালগঞ্জের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
আজ সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি ও প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হন। বেলা ১১টার দিকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদ্যাপন কমিটি ও কালীবাড়ির যৌথ ব্যানারে আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন যোগ দেন।
এ সময় টুঙ্গিপাড়া-গোপালগঞ্জ সড়কের সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ সমাবেশে শিশু-নারীসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। পরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করেন গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমেন সরকার।
সমাবেশে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগানের মধ্যে ছিল—‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কী কারও বাপ-দাদার’, ‘কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সনাতনীরা জেগেছে’, ‘আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘আমার মাটি আমার মা, ছেড়ে কোথাও যাব না’, ‘স্বাধীন দেশে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ও ‘বিচার চাই বিচার চাই, হামলাকারীর বিচার চাই।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা টিটো বৈদ্য, উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রমুখ।