লালমনিরহাটসহ তিস্তা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় পানি নামতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৫৮ মিটার, যা বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচে।
এর আগে গত ২৯ জুলাই রাত ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয় এবং হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যায় চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট, আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে যায়; সড়কপথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়ে নৌকা ও ভেলা হয়ে ওঠে একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম। এ ছাড়া পুকুর তলিয়ে গিয়ে মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচে এবং ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে।
এর ফলে জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের পানি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। এর মধ্যে দহগ্রাম, গড্ডিমারী, দোআনি, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, ভোটমারি, নোহালী, মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া, পলাশী, ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ি ও গোকুণ্ডা ইউনিয়নসহ বহু এলাকায় পানি হ্রাস পাচ্ছে।