খাগড়াছড়িতে উৎপাদিত আম, কাঁঠাল, আনারস, পেঁপে ও কলাসহ বিভিন্ন উৎপাদিত মৌসুমী ফল বিকিকিনি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ২য় দফা কঠোর লকডাউনের প্রভাবে, হাটবাজারে কোন ক্রেতা বা পাইকার নেই। রয়েছে শ্রমিক ও পণ্য পরিবহন সংকটও। ক্রেতারা বাজার আসতে না পারায় বিক্রি হচ্ছে না বাগানের উৎপাদিত এসব ফল।
প্রতি বছর জেলার ছোট-বড় প্রায় ২ শতাধিক বাগান মালিকের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক অগ্রীমভাবে বাগান থেকেই আম, কাঁঠাল, আনারস, পেঁপে ও কলা কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, এ বছরও করোনার প্রভাবে দেশব্যাপী এসব ফল বাজারজাত করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে বাগানের ফল বাগানেই পঁচে যাচ্ছে। ফলে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।
খাগড়াছড়ি আম বাগান মালিক সমিতির উপদেষ্টা অনিমেষ চাকমা রিংকু বলেন, এখানকার বহু বাগান মালিক ঋণ নিয়ে আম বাগান সৃজন ও পরিচর্যা করেছেন। তবে, এবার করোনার কারণে শতশত বাগানের আম বাজারজাত নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, কৃষিজাত এসব পণ্য সরকারিভাবে বাজারজাতকরণে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা চলছে বলে জানান খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মর্তুজা আলী।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় ৩ হাজার ২শ’ ৪৫ হেক্টর জমিতে ২৯ হাজার ১৯৬ মেট্রিক টন আম, ১১শ’ ৯৬ হেক্টর জমিতে ২৫ হাজার ১ ১৬ মেট্রিক টন আনারস, ৩ হাজার ৫শ ১৫ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ১১ শত ৫৬ মেট্রিক টন কাঠাল এবং ৩ হাজার ৫শত ১৫ হেক্টর জমিতে ৮৭ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন কলা উৎপন্ন হয়েছে।