নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ২২ কেজি ওজনের বিশাল একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। নিলামে মাছটি ২৬ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হাতিয়ার শিল্পী মাঝি নামের এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাটের সাদিয়া ফিশ এজেন্সিতে মাছটি নিলামে বিক্রি করা হয়।
জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার শিল্পী মাঝি নামে এক জেলে মেঘনা নদীতে শনিবার সকালে জাল ফেলেন। এ সময় জালে বিশাল আকৃতির কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। তারপর দুপুরে হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাটের সাদিয়া ফিশ এজেন্সিতে মাছটি নিয়ে আসেন। নিলামে ১২০০ টাকা করে মানিক সওদাগর ২৬ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
সাদিয়া ফিশ এজেন্সির ম্যানেজার মো. হেদায়েত বাবু বলেন, জেলে শিল্পী মাঝি আমাদের আড়তে ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ নিয়ে আসেন। নিলামে মানিক সওদাগর ২৬ হাজার ৪০০ টাকায় কোরাল মাছটি কিনে নেন। আমাদের এখানে প্রায় সময় ১৭/১৮ কেজির উপরে কোরাল মাছ পাওয়া যায়। তবে এই বছরে প্রথম এত বড় কোরাল পাওয়া গেলো।
মানিক সওদাগর বলেন, আমরা খুব কম সময় এত বিশাল কোরাল পেয়েছি। সচরাচর এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ মানুষই বড় কোরালগুলো পছন্দ করেন। আশা করছি মাছটি ভালো দামে বিক্রি করেতে পারবো।
হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখতার হোসাইন বলেন, হাতিয়া উপজেলা মেঘনা নদীবেষ্টিত। এখানের জেলেরা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। এখানে প্রায়ই বড় বড় মাছ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে নদীতে ইলিশ নেই বললেই চলে।
হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, মৎস্য সংরক্ষণে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করায় নদীতে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি সামনে জেলেরা সাগরে বড় আকৃতির মাছ আরও বেশি বেশি পাবেন।