টানা দুই দিনের বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানি বেড়ে ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরশুরামের শালধর এবং ফুলগাজীর টেটেশ্বরহ বেশ কয়েকটি বাঁধের স্থান ভেঙে গেছে।
ফেনীর পরশুরামের বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া শমসের গাজি এলাকা, ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী নদীর বাঁধে ১০টি স্থানে ভাঙ্গন লোকালয়ে ঢুকছে পানি, প্লাবিত হয়েছে ১৫টি গ্রাম।
টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ও ভারত থেকে নেমে আসা পানির চাপে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি ফের বিপদ সীমার ২৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সম্প্রতি বন্যার ক্ষয় ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই আবারো বন্যার মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ বানবাসী মানুষ।
ফুলগাজী বাজারেও হাঁটু পরিমাণ পানি উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। যানবাহন চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে। ভারত থেকে নেমে আসার উজানের পানি ও অতিবৃষ্টির কারণে মুহুরী কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরশুরামের শালধর এলাকায় পাহাড়ী পানির চাপে মুহুরী নদীর পূর্বের ভাংঙ্গনকৃত এলাকায় আবারো ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) ভোরে এই স্থান ভেঙ্গে পানি ঢুকতে দেখা যায়। পরশুরামের বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া শমসের গাজী দক্ষিণ পাশে সাতকুচিয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে সাতকুচিয়া লোকালয়ে পানি ঢুকছে।
এছাড়াও মুহুরী নদীর বাঁধে টেটেশ্বর, সত্যনগর ও মির্জানগর এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। স্রোতের বেগে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পরবর্তী ভাঙ্গনকৃত স্থানগুলো নামমাত্র মেরামত করায় আবারো একই স্থানে বার বার ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রত্যেক বছরই ৩/৪ বার ফুলগাজী ও পরশুরামের মানুষ নদীর বাঁধ ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎষ খামার ও বীচতলা। বন্যা পরবর্তী কৃষরা নতুন করে আমনের বীজ লাগানোর পরই আবারো তা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
গত জুন মাসে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুহুরী নদীর সংস্কার ও স্থায়ী বাঁধ নির্মানের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ২ মাসের মধ্যে আবারো বন্যা হওয়ায় অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী। স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মানের দাবি করে আসছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। শমসের গাজী দক্ষিণ পাশে সাতকুচিয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে সাতকুচিয়া লোকালয়ে পানি ঢুকছে।