খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জোয়ারের সময় কালীনগর গ্রামে প্রায় ৩০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এরপর জোয়ারের পানি আশপাশের গ্রামগুলোতে প্রবেশ করে। জোয়ার শেষ হলে বেড়িবাঁধ মেরামত কাজ শুরু করা হবে।
তিনি আরও জানান, পূর্ণিমার কারণে উপকূলীয় এলাকার নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট বেড়েছে। সে কারণে দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটার কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেগুলোও দ্রুত মেরামত কাজ শুরু করা হচ্ছে। আগামী ২/৩ দিন জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকবে।
দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে কালীনগর, দারুল মল্লিক, হরিণখোলা, সৈয়দখালি ও সেনেরবেড় গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে গ্রামগুলোর প্রায় ৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এখন নদীতে ভাটা থাকায় স্থানীয়রা বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য জড়ো হয়েছে। যদি মেরামত করা না যায় তাহলে পরের জোয়ারের সময় ১৩টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশংঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনিন জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যে স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে ওই জায়গা ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।