জয়পুরহাটে সবুজ আলী নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. কাফি ও সাদিকুল ইসলাম। কাফি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলতাফ নগর গ্রামের বাসিন্দা ও সাদিকুল পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার পানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২ আগস্ট সকালে জয়পুরহাট সদর উপজেলার খঞ্জনপুর বেড়িবাঁধের নিচে পাটক্ষেত থেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোঁচপুকুরিয়া গ্রামের সবুজ আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় কাঁচা পাটের আঁশ পেঁচানো ছিল। পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আগের রাতে সবুজকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় আসামিরা।
এ ঘটনায় পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) কাইয়ুম আলী বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে আসামিদের নাম ওঠে আসে এবং তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ৪ মার্চ আদালতে অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উদয় সিংহ (এপিপি) বলেন, সবুজ ও কাফির কসমেটিকসের ব্যবসা ছিল। ব্যবসার সুবাদে কাফি ও সাদিকুল, সবুজকে সঙ্গে নিয়ে হিলিতে যায়। সেখানে তাদের মধ্যে ব্যবসার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। এরই জের ধরে সবুজকে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশ উদ্ধার করে পত্রিকায় ছবি দিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে এবং পরে দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও একজন গ্রেপ্তার হন। পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় এক আসামি অব্যাহতি পান। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বুধবার আদালত মামলার দুইজন আসামি কাফি ও সাদিকুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।