আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা চাপ অনুভব করবো কেন? যদি বলেন চাপ, তাহলে বলবো বিবেকের চাপ। বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপে সরকার কোনও চাপ অনুভব করছে না।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা সব সময় বলি, নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে বক্তব্য, আমরা যার সঙ্গে আলাপ করি, আমাদের অঙ্গীকার ও বক্তব্য একটি। এটি অত্যন্ত ক্লিয়ার। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা সবার সঙ্গে বলছি। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। দেশের জনগণের কাছে কমিটমেন্ট।
তিনি বলেন, আমেরিকার সাথে আমাদের বিভিন্ন লেনদেন রয়েছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। আমেরিকার মান্যবর রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তিনি আমাদের এই অফিসে আগে কখনো আসেননি। তিনি এলেন, দেখে গেছেন।
কাদের বলেন, আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোনো কমপ্লেইন নিয়ে কথা বলিনি। তার কথা সে বলেছে। আমরা আমাদের কথা বলেছি। মার্কিন অ্যাম্বাসেডর কোথাও তার কথায় কেয়ারটেকার সরকার, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এ ধরনের কোনো কথা বলেনি। কথা হয়েছে- ফ্রি, ফেয়ার ও পিসফুল নির্বাচন নিয়ে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিনীদের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়নি। সংলাপের বিষয়েও কোনো কথা হয়নি। তবে শেখ হাসিনার অধীনে দেশে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের দীর্ঘ আন্দোলনেরই সোনালি ফসল। একে রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি।
এদিন বেলা সোয়া ১১টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অষ্টম তলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের মধ্যে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা ছিলেন।
এর আগে, পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আসেন সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মিনিটে।