স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তবে পিপিডির সদস্য দেশ হিসেবে দক্ষিণ-দক্ষিণ আঞ্চলিক উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোয় মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমাতে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে একযোগে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে একটি আন্তরাষ্ট্রীয় সংগঠন পার্টনার্স ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) ৩৮তম বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ৮ আগস্ট শুরু হয়ে বৈঠকটি আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়। আয়োজক দেশ হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
তিন দিনব্যাপী চলা এই বৈঠকে দক্ষিণ-দক্ষিণ আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলোর উন্নয়নশীল ২৭টি সদস্য দেশের সংগঠন পিপিডি আন্তরাষ্ট্রীয় পারস্পরিক উন্নয়নের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোয় সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করবে। সদস্য দেশগুলো স্বাস্থ্যব্যবস্থা, জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসবে বলে বৈঠকে একমত পোষণ করা হয়।
সভায় সদস্য দেশগুলোতে সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে নির্বাহী সদস্যরা আলোচনা করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সমাজ উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী এবং পিপিডির বর্তমান সভাপতি লিনডিউই জুলু, বেনিন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পিপিডির নির্বাহী সদস্য প্রফেসর বেনজামিন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মূল আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় অন্যান্য সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা তাদের পক্ষ থেকে মতামত ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের নারীদের স্বাবলম্বী করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও বর্তমানে ৬৫ জন নারী সদস্য রয়েছেন, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারও নারী।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে দারিদ্র্য কমাতে সদস্য দেশগুলোর এক হয়ে কাজ করতে হবে। নারীর জন্য কাজের পরিধি বাড়াতে কাজ করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন যথাযথভাবে করা গেলে মাতৃ মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার কিংবা বাল্যবিবাহ অনেকাংশেই কমে আসবে।