আমরা যে অঙ্গীকার করি সেটা আমরা রাখি। সেটা আজকে প্রমাণ করছি বলে উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেষ বয়সে কেউ যেন পরিবারে কাছে বোঝা না হয়, তাদের সুরক্ষা দিতেই সর্বজনীন পেনশন স্কিম।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।
মানুষ যখন বৃদ্ধ হয়ে পড়েন, যখন কর্মক্ষমতা থাকে না। তখন এই পেনশন খুব কাজে দেবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বৃদ্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় ছেলেমেয়েরাও দেখতে চায় না। এখন আর সেই অবস্থা থাকবে না। যারা বয়স্কভাতা পান না। তারাও এই সর্বজনীন পেনশনের সুবিধা পাবেন। আর কারো কাছে হাত পেতে কারো ঝান্ডা খেতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা এই পেনশন পাবেন না। কারণ, তারা তো চাকরি শেষে কিছু টাকা পান, কিন্তু এর বাইরের জনগোষ্ঠী সর্বজনীন পেনশন পাবেন। সমাজের সবারই কিছুটা হলেও আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকা উচিত। সেজন্যই সর্বজনীন স্কিম। এর মাধ্যমে সমাজে বৈষম্য দূর হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রস্তুত করতে অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে। দেশের সব মানুষের জন্য এই পেনশন স্কিম চালু করতে পারা নিঃসন্দেহে বড় উদ্যোগ। ইতিমধ্যে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে, ঠিকানাবিহীন মানুষের সংখ্যা কমছে।