ছিনতাইকারীকে চিনে ফেলায় অটোরিকশা চালক মো. রিয়াজ খানকে (১৫) হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যা মামলার আসামি মো. মাসুদ (২৫)।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন তিনি।
আসামি মো. মাসুদ সদর উপজেলার কাদির-হানিফ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দরবেশপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, মাসুদকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ স্বীকার করেন হত্যাকাণ্ডের একদিন আগে তিনি রিয়াজের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন ঘটনাস্থল থেকে রিয়াজের অটোরিকশাটি ছিনতাই করে রিয়াজকে গলা কেটে হত্যা করেন।
সুধারাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অটোরিকশা চালক রিয়াজ হত্যার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানতে পারে, একটি সংঘবদ্ধ অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সদস্যরা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এরপর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মাসুদকে গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ওসি আরও বলেন, মাসুদ হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ও তার সহযোগীরা অটোরিকশাটি বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর করিমপুর এলাকার গোরস্তান সড়কের হিরো অটোরিকশা গ্যারেজে রাখেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই গ্যারেজ থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে এবং গ্যারেজের মালিক মো. মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়ন থেকে মো. রিয়াজ খান নামে এক যুবকের গলা কেটে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নেন ছিনতাইকারীরা। নিহত মো. রিয়াজ খান সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কিল্লার চর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে।