কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার সেলিমের বাসার ভাড়াটিয়া মধু (৪২) এবং তার একমাত্র ছেলে মুগ্ধ (৭)। মধু শহরের আলফার মোড়ে স্বর্ণকারের কাজ করতেন। মধুর বাবার বাড়ি পশ্চিম মজমপুর গ্রামে। কয়েক বছর আগে মুসলিম ধর্মের শেফালীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন হিন্দু ধর্মের মধু। এরপর থেকে মধুর পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে পারিবারিক কলহের কারণে ছেলেকে হত্যা করে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মধু আত্মহত্যা করেন ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় তার স্ত্রী শেফালী আলফার মোড় এলাকায় বাবার বাড়িতে ছিলেন। দুপুরের দিকে বাবার বাড়ি থেকে ভাড়া বাসায় এসে ঘরে দুজনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মধুর স্ত্রী শেফালী খাতুন গনমাধ্যমকে বলেন, আজ সকালে আমার বাবার বাড়ি থেকে ছেলে মুগ্ধকে স্কুলে ভর্তি করার কথা বলে নিয়ে আমার স্বামী আসে। এরপর দুপুরে অনেকবার কল করলেও সে রিসিভ করেনি। পরে বিকেলের দিকে বাবার বাড়ি থেকে ভাড়া বাসায় এসে দেখি দরজা জানালা বন্ধ। পরে স্থানীয়রা জানালা ভেঙে দেখে দুজনের মরদেহ ঝুলছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানি না।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা গনমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ছেলেকে হত্যার পর মধু আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সঠিক তথ্য জানানো যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।