মো.মোস্তাফিজুর রহমান রুমন:
রাজধানী তুরাগের স্থানীয় মার্কেটগুলো ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা । এদের মধ্যে কেউ কেউ নতুন কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে মার্কেট পরিচালনা কমিটির সদস্যদের। মাসিক চাঁদার বিনিময়ে মার্কেট কমিটির কিছু সদস্য রাতে দোকান খোলা রাখার ব্যবস্থা করে দিয়ে ইয়াবা চালানের হাতবদলে সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তি জানান, চন্ডালভোগের আরাফাত সুপার মার্কেটের মুদি দোকান ও সামনের রাজউকের জায়গার অবৈধ দোকানগুলো সারা রাত খুলে রাখা হয়। যার আশপাশে সন্ধ্যার পর ভিড় জমায় ইয়াবার খূচরা ব্যবসায়ীরা। রাতের অন্ধকারে তাদের টার্গেট থাকে ইয়াবা বেচা ও বহিরাগতদের আটকে ছিনতাই করা।
যার লাভের অংশ চলে যায় অসাধু পুলিশ সদস্য,এলাকার কতিপয় মাতব্বর ও মার্কেট পরিচালনা কমিটির অনেক সদস্যদের পকেটে। আরাফাত সুপার মার্কেট কমিটির সভাপতি ইসলামের বিরুদ্ধে ছিনতাইকারী ও মাদকসেবীদের মদদ দেয়ার গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে।
তাছাড়া আরাফাত মার্কেটের সামনের সরকারী জায়গায় বস্তি ও ভাঙ্গারী দোকানপাট তৈরি করে বানানো হয়েছে ইয়াবা ও গাজাঁ সেবনের স্পট। গভীর রাতে এখানে মাদকসেবীদের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। এ ক্ষেত্রে স্পট ভাড়াও দিতে হয় মার্কেট কমিটিকে। এ সকল অবৈধ স্থাপনায় মার্কেট থেকে দেয়া হয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। যার পুরো টাকা আরাফাত সুপার মার্কেটের সভাপতি ইসলাম আত্বসাৎ করছে বলে জানা গেছে। কিছু দিন আগে এই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান এক প্রবাসী যুবক। পরে ডেসকো থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় অবৈধ সংযোগ। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারো অবৈধ সংযোগ দিয়ে দোকানীদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করছেন এই মার্কেট সভাপতি। আরাফাত সুপার মার্কেটের দক্ষিনে রয়েছে ইয়াবার স্পট। মার্কেটের উত্তর পাশে রয়েছে গাঁজার স্পট। যা অনেকের জানা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর মার্কেটের আশপাশে নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান করে ইয়াবা ব্যবসায়ে জড়িত প্রায় অর্ধশত খুচরা মাদকব্যবসায়ী। এরা প্রতি রাতে ৪/৫ শত টাকার বিনিময়ে ইয়াবা বিক্রির কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। যার বেশির ভাগই এলাকার উঠতি বয়সের ছেলে। তারা মুলত ইয়াবার খুচরা বিক্রেতা ও ছিনতাই চক্রের সদস্য।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হরিরামপুর ইউনিয়নের চন্ডালভোগ, ডিয়াবাড়ি, তারারটেক, নয়ানগর, ফুলবাড়িয়া টেকপাড়া, উত্তরা ১১ ও ১২ নম্বর সেক্টর বালুর মাঠে রয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের খুচরা ব্যবসায়ী ও ডিলাররা। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে অনেক দোকানী।
এদের মধ্যে রয়েছে আল আমিন, শাহীন, আলাউদ্দিন, শাহিদুল, মো: ছালেক, আব্দুল রহিম, রবিউল,মো: রুবেল মিয়া, আল আমিন, আলাউদ্দিন, মোখলেছ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, ফারুক, ইসমাইল, ঝিলন, আজাহার, রাকীব, ফয়সাল, আলাল, শরীফ, শিল্পী, রাকীব, আলাউদ্দিন, সুমি,রত্না, জিয়া, শাহীন, কামাল হোসেন, ইয়াবা রনি, মিজানুর রহমান, আবুল কালাম, মিলন মিয়া, ইউনুছ আলী, জজ মিয়া, মিথুন, শিলা, হাসান, শাকিল,আবুল কাশেম, জসিম, স্বপন, ও মালেক মুন্সী সহ আরো অনেকে।
এ ব্যপারে জানতে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল মোক্তাকিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
বিস্তারিত আসছে পরবর্তী পর্বে ……………………………..
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি