পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটের লৌহজং টার্নিং এ তীব্র ঘূর্নি -স্রোত সৃষ্টি হয়ে ফেরিসহ নৌযান চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। স্রোতের গতিবেগের সাথে উজানে নদী ভাঙ্গনের পলি পরে সৃষ্টি হয়েছে নাব্যতা সংকট। পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার সন্ধয় বিকল্প ওয়ান ওয়ে চ্যানেল চালু করা হয়েছে। ফেরিসহ নৌযান চলাচল করছে ওয়ান ওয়ে পদ্ধতিতে। এতে নৌপথের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার বেড়ে পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সুত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধির গতিবেগ বাড়তে থাকে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে স্রোতের গতিবেগ তীব্র আকার ধারন করায় এরুটের লৌহজং টার্নিং এ ঘূর্নি -স্রোত সৃষ্টি হয়ে গত ২/৩ দিন ধরে টার্নিং টি ক্রসিং এ একপ্রকার যুদ্ধ করতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে।
এরসাথে উজানে তীব্র নদী ভাঙ্গনের ফলে ভেসে আসা পলিতে টার্নিংটিতে নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি করে সরু হয়ে পড়েছে। রয়েছে স্রোতের সাথে ঢেউয়ের উত্তালতা। এতে সব নৌযানের সাথে বিশেষ করে এ রুটের ৬টি ডাম্ব ফেরি চলাচল করছিল প্রায় দ্বিগুন সময় ও অতিরিক্ত ঝূকি নিয়ে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধায় ৬ কিলোমিটার ভাটিতে বিকল্প চ্যানেল চালু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। বিকল্প এ চ্যানেল দিয়ে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরিসহ নৌযানগুলো চলছে। আর লৌহজং টার্নিং হয়ে কাঠালবাড়ি থেকে ছেড়ে যাওয়া নৌযান চলাচল করছে। স্রোতের প্রতিকুলে বিকল্প চ্যানেলে ৬ কিলোমিটার বাড়তি নৌপথ ঘুরে নৌযানগুলো চলাচল করতে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট-এক ঘন্টা বেশি সময় লাগছে।
এতে বাড়তি সময়ের সাথে সাথে বাড়তি জ্বালানীও ব্যায় হচ্ছে। এরুটে ১৯ টি ফেরি, ৮৭ টি লঞ্চ ও ২ শতাধিক স্পীডবোট চলাচল করে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি