মেঘনার জোয়ারের পানিতে ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরী চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ইলিশা ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে।
অপেক্ষকৃত নিচু স্থানে ঘাট নির্মানের কারনে পল্টুন, এপ্রোস সড়ক ও র্যাম সামন্য জোয়ারেই ঘাট তলিয়ে যায় বলে অভিযোগ ফেরী কর্তৃপক্ষের।
ফেরী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত দুইদিন ধরে ভোলার ইলিশা ফেরীঘাট জোয়ারে ডুবে যাওয়ার কারনে ফেরী প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টার অধিক ফেরী চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। ভাটার উপর নির্ভর করে ফেরী চলাচল করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে ভোলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী সার্ভিস। এ রুটে কৃষানী, কনকচাপা ও কুসুমকলি নামের তিনটি ফেরী চলছে।
দেশের দীর্ঘতম এ রুটে জোয়ারের কারনে ফেরী চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। জোয়ার এলেই পল্টুন, এপ্রোস সড়ক ও র্যাম তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারনে ফেরীতে উঠা-নামা করতে পারেনা কোন যানবাহন। এছাড়াও দীর্ঘ দিনেও ঘাট মেরামত না করায় জীর্ন দশায় পরিনত হয়েছে ঘাট।
গত ৩দিন ধরে ভোলা অংশের ইলিশা ও লক্ষীপুর অংশের মজুচৌধুরীরহাট ঘাটে ৩ শতাধিক গাড়ী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে ইলিশা ঘাটের এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডবব্লিটিএ সহকারি পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান ।
নিউজ ডেস / বিজয় টিভি
