আমেরিকার কেনোশায় বিক্ষোভে গুলি চলল। পুলিশ নয়, গুলি চালাল এক ১৭ বছরের টিনএজার। তাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত এক।
কেনোশায় জেকব ব্লেককে পুলিশের গুলির পর যে প্রতিবাদ ও সংহিসতা শুরু হয়েছে, তাতে এ বার গুলি চলল। চালাল ১৭ বছরের এক টিনএজার। তাতে মারা গেছেন দুই বিক্ষোভকারী। একজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে। ইলিনয় থেকে টিনএজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হুমকি অবশ্য আগেই দেয়া হয়েছিল। মূলত শ্বেতাঙ্গদের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী জানিয়েছিল, তারা সম্পত্তি রক্ষা করবে। এই গোষ্ঠীার নাম আর্মড সিটিজেনস টু প্রোটেক্ট লাইভস অ্যান্ড প্রপার্টি। তারা জানিয়েছিল, সরকারি ভবন রক্ষা করা হবে। ভাঙচুর করতে দেয়া হবে না। কোমরে হ্যান্ডগান এহং হাতে এআর ১৫ অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে সংগঠনের তরফে কেভিন ম্যাথুসন জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে রক্ষা করবেন। তবে বিক্ষোভে গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে এই সংগঠন জড়িত কি না জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। তাকে ইলিনয় থেকে উইসকনসিন নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।
নিরস্ত্র জেকবের ওপর পুলিশের দুই কর্মী সাতটি গুলি চালিয়েছিল। জেকব এখন হাসপাতালে। গুলি তাঁর মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। যকৃৎ, অন্ত্রেরও ক্ষতি করেছে। তিনি আর হাঁটতে পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবারের আইনজীবী। এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ চলার সময়ই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ হয়। তখনই ওই টিনএজার তার সেমি অটোমেটিক রাইফেল থেকে গুলি চালায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সে তারপর রাস্তা পার হয়ে চলে যাচ্ছে, আর তার পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে পুলিশের গাড়ি। পরে পাশের রাজ্য ইলিনয় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেনোশাতে ন্যাশনাল গার্ড ও ফেডারেল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছেন, ”লুটপাট, আগুন, সহিংসতার ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। কেনোশায় ন্যাশনাল গার্ড ও ফেডারেল বাহিনী পাঠাচ্ছি। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করবে।”
উইসকনসিনের ডেমোক্র্যাট গভর্নর টনি এভার্স বলেছেন, ”এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা যেন আর না ঘটে। একইসঙ্গে আমি আবার আবেদন জানাচ্ছি, বিক্ষোভ যেন শান্তিপূর্ণ থাকে। সেই সঙ্গে এটাও বলতে চাই, উইসকনসিনের ন্যাশনাল গার্ড, স্থানীয় আইন রক্ষাকারীদের নিজেদের কাজ করতে দিন।” এভার্সের কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ফেডারেল বাহিনী পাঠানো নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ আছে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে