ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের অহংকার ২০২০ সালের বাংলাদেশ।সত্তরের নির্বাচনে বাঙালির মননে ‘পূর্ববাংলা শ্মশান কেন’ যে পোস্টারটি দাগ কেটেছিল সেই বাঙালি আজকের বাংলাদেশ নিয়ে বিজয়ের কাঙিত সুফল পাচ্ছে। বৈশ্বিক উন্নয়নের তুলনামূলক সূচকে পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশের ধারে কাছেও নেই বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে।
মন্ত্রী আজ (২৩ ডিসেম্বর) নেত্রকোণায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণার ভিসি অধ্যাপক ড. রফিকুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাত আলী জহির বীরপ্রতীক, নেত্রকোণা‘র ডিসি কাজি মোঃ আবদুর রহমান, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সুব্রত কুমার আদিত্য প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠার চলমান ডিজিটাল বিপ্লব সফল করতে সর্বাত্নকভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন,সামনের দিনগুলো অতীতের মতো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সৈনিক হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আমারা অতীতে তিনিটি শিল্প বিপ্লবে শরীক হতে পারিনি।
অতীতের সকল পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অভিযাত্রায় শরীক হয়েছে। অতীতের শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি দিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সফল হবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা কৃষিক্ষেত্রেও সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই জন্য প্রযুক্তি বিজ্ঞানি হওয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে বলেন,সামন্যতম ডিজিটাল জ্ঞান না থাকলে পৃথিবীতে সফলভাবে টিকে থাকা কঠিন হবে। মন্ত্রী নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সুনামগঞ্জসহ বিস্তৃর্ণ অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি অভাবনীয় ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করেন।