অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো। ভারতের জন্য আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ‘ঐতিহাসিক’ দিন। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তবে, পশ্চিমবঙ্গে কিছু জেলায় অবশ্য সকাল নয়টা থেকেই প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মীসহ সামনের সারির তিন কোটি মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। এ পর্ব শেষ করতে কয়েক মাস লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তারপরে পাবে যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে তারা, ৫০ বছরের বেশি বয়সীরা এবং রোগব্যাধি যেমন ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশনে ভুগছেন তারা।
এ কর্মসূচির আওতায় দেয়া হচ্ছে দুটি টিকা। যার একটি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতে তৈরি কোভিশিল্ড টিকা। এটি বাজারজাত করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। অন্যটি ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেক তৈরি কোভ্যাক্সিন। যদিও কোভ্যাক্সিন টিকাটি এখনও ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। নতুন বছরের শুরুতেই টিকা দুটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় দেশটির ওষুধ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
করোনা মহামারিতে গত এক বছরে ভারতে প্রাণ হারিয়েছে দেড় লাখের বেশি মানুষ, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এককোটির বেশি। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারতে শুরু হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণ টিকাদান কর্মসূচি।