মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সময় উপযোগী সকল দিকনির্দেশনা উদ্যোগ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। ইতোমধ্যে তিন কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিগগিরই করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন বলে ঘোষণা দেন। টেবিলে উত্থাপপিত প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু’র প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, যা হতে বাংলাদেশ মুক্ত নয়। তবে শুরু থেকেই আমাদের সরকার সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার করেছে যার ফলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মৃত্যুর হার এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অধিকতর সাফল্য দেখাতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক লিগ টেবিল-২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি। এই রিপোর্টে মূলত সামনের বছর এবং আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের কোনো দেশের অর্থনীতি কী হারে বাড়বে তারই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অন্য অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা অনেকটাই এড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.২৪ শতাংশ হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮.১৫ শতাংশ, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ দশম। বাংলাদেশ আজ চালে উদ্বৃত্ত দেশ। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, চাষের মাছ উৎপাদনে পঞ্চম, ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ।