মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ এবং ব্র্যান্ডিং করার জন্য জয়িতা ফাউন্ডেশন গঠন করেছে সরকার। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে জয়িতা ফাউন্ডেশন এর ১০ তলা ভবন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হবে।
তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। নারীরা আজ আর ঘরে বসে নেই, তারা এখন সফল উদ্যোক্তা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীরা ই-কমার্স ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে বিপ্লব সৃস্টি করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি’র সভাপতিত্বে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরো বলেন, বাংলাদেশের নারীদের জন্য বাড়তি সুযোগের দরকার নেই। তাদের জন্য প্রয়োজন সমতা সৃষ্টি করা। আজ ই-কমার্সে নারীদের জয়জয়কার। দেশে যত অনলাইন ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে তার শতকরা ৮০ ভাগ পরিচালনা করছে নারীরা। পুরস্কারপ্রাপ্ত জয়িতারা সমাজে নারীর ক্ষমতায়নের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কারের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরীতে সিলেটের ফরিদা আক্তার চৌধুরী, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সুনামগঞ্জের নাসিমা আক্তার খানম, সফল জননী ক্যাটাগরীতে সিলেটের মন্দিরা রাণী ভট্রাচার্য, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা মৌলভীবাজারের পারভীন আক্তার। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সুনামগঞ্জের মোছাঃ ফরিদা পারভীনকে এবছর জয়িতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।