মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীরা দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। তারা সমান যোগ্যতা নিয়ে পুরুষের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। তৃনমুল পর্যায়ের আড়াই লাখ নারীকে ক্যাটারিং, হাউজকিপিং, বেবি কেয়ার ও বিউটিফিকেশনসহ ৭টি ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে। পঁয়ত্রিশটি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলন কক্ষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় ডে-কেয়ার আইন, ২০২১ এর নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। ডে-কেয়ার আইন বাস্তবায়নের ফলে কর্মজীবি মায়েরা সন্তানদের নিরাপদে রেখে নিশ্চিন্তে কর্মস্থলে যেতে পারবে। এর ফলে কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। যা জাতিসংঘের ভাষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০:৫০ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিদিন সারাদেশে লাইন ধরে মানুষ করোনার ভ্যাকসিন নিচ্ছে উল্লেখ করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, কারো সাইড এফেক্ট হচ্ছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর হার কম। উন্নত দেশগুলো চেষ্টা করেও যেখানে ভ্যাকসিন পাচ্ছে না সেখানে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। একটি দল নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সংগঠনে ব্যর্থ হয়ে জনসমর্থন হারিয়ে এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভ্যাকসিন সম্পর্কে নানা ধরনের কটূক্তি ও গুজব ছড়াচ্ছে। কিন্তু এদেশের জনগণ কখনোই সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, সমতার জায়গায় পৌঁছাতে গেলে নারীর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীদের কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়ন থেমে যাবে। নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা মুক্ত করতে এ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি সেক্টরে নারীরা প্রতিভার সাক্ষর রাখছে। নারীর এ অগ্রযাত্রা যাতে থেমে না যায় সেজন্য সবার সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যথাক্রমে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: হুমায়ুন কবীর ও রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো: আব্দুল ওয়াব ভূইয়া সভাপতিত্ব করেন। দুই বিভাগের ১০ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী, সফল জননী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা ক্যাটাগরিতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কারের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
ঢাকায় প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরার কাছ থেকে শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী বগুড়া শিবগঞ্জের মিফতাহুল জান্নাত সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কারের নগদ অর্থ গ্রহণ করেন।