তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার খেলাধুলাবান্ধব। তিনি নিজেও একজন খেলাধুলাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসকল কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের মেয়েরা ভারতের মেয়েদের হারিয়ে দিয়ে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের যুব ক্রিকেট টিম বিশ্বকাপে জয়লাভ করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সরকার খেলাধুলা বান্ধব সরকার বিধায়।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির তালুকদার। খেলার উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার শিশু সদস্য আদেল সাদিক মাহমুদ। সম্বর্ধিত অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার পূনঃনির্বাচিত মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সুখবিলাস ফিসারিজ এন্ড প্লান্টেশনের চেয়ারম্যান এরশাদ মাহমুদ, ইডেন ইংলিশ স্কুলের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, চান্দগাঁও শান্তিময় বিহারের অধ্যক্ষ বোধিশ্রী ভিক্ষু।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তরুণদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলার আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সৃজনশীল কাজকর্মে যুক্ত রাখতে হবে। খেলাধুলার অনুপস্থিতির কারণে এখন আমাদের তরুণরা অনেক ক্ষেত্রে বিপথগামী হচ্ছে।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত আসক্তির বিরূপ প্রভাবও পড়ছে আমাদের কিশোর তরুণদের উপর। সেজন্য এভাবে নানা ধরণের টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে খেলাধুলা চালু রাখা অত্যন্ত জরুরী।
রাঙ্গুনিয়ার খেলাধুলা সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাঙ্গুনিয়া খেলাধুলায় অত্যন্ত সমৃদ্ধ। জাতীয় ফুটবল দলে আমাদের ২/৩ জন খেলোয়াড় প্রতিবছরই থাকে। এখনও রাঙ্গুনিয়ার দুজন খেলোয়াড় জাতিয় দলে আছে। খেলোয়াড় সৃষ্টির জন্য এধরণের ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন প্রতিবছর করার জন্য আয়োজকদের উৎসাহ দেন ড. হাছান মাহমুদ।