বাংলাদেশের ডিজিটাল যুগের যাত্রায় আরেকটি পালক যুক্ত হয়েছে। দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই ইতোমধ্যে চালু হওয়া এই পরিষেবা বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সিং, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যবসা খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন এই প্রযুক্তি ঘিরে দেশের ইন্টারনেট সেবার মান এবং গ্রাহকসেবায়ও বড় ধরনের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলাদেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্টারলিংক অফিসিয়ালি (আনুষ্ঠানিকভাবে) বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল (সোমবার) বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টা জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে (যোগাযোগমাধ্যম) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে স্যারের প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো।
তিনি আরও বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।