বলিউডের শক্তিমান অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। যার জীবনের গল্প হার মানাবে কোনও সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। যে কারণে এই অভিনেতার জীবনী নিয়ে বায়োপিকটা ইতোমধ্যেই সেরে ফেলেছেন রাজ কুমার হিরানি।
রুপালি পর্দার ‘মুন্নাভাই’ সঞ্জয় দত্ত সোমবার পা দিলেন ৬৫ বছর বয়সে। জীবনের এই পর্যায়ে এসে অনেকটা পরিপক্ক অভিনেতা। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার তার।
যদিও যৌবনে সঞ্জয় দত্তের বেপরোয়া জীবনযাপনের কথা কারো অজানা নয়। মাদক আর মেয়ের নেশায় ডুবে থাকতেন তিনি। নিজের মুখেই জানিয়েছেন কমপক্ষে ৩০৮ প্রেমিকা ছিল তার।
দাম্পত্য জীবনেও থীতু হতে সময় লেগেছে সঞ্জয়ের। প্রথম স্ত্রী রিচার অকাল মৃত্যু, দ্বিতীয় বিয়ের পরিণতি হয় ডিভোর্স। এরপর সি গ্রেড ছবির নায়িকা মান্যতাকে বিয়ে করেন সুখের সংসারের দেখা পান তিনি।
২০০৮ সালে মান্যতার সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। পরে তাদের শাহরান ও ইকরা নামের দুই যমজ সন্তান হয়। লম্বা সময় জেলেও কাটিয়েছেন নায়ক। সেই সময়ও সঞ্জয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন মান্যতা। একা হাতে সামলেছেন দুই সন্তানের দায়িত্ব।
তাই তো সঞ্জয়ের জন্মদিনে আদুরে পোস্ট শেয়ার করে স্বামীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন তারকাপত্নী। কিশোর কুমারের ‘রুক জানা নেহি’ গান বাজছে ব্যাকগ্রাউন্ডে সঙ্গে বরের সঙ্গে কাটানো আনন্দমাখা আর রোম্যান্টিক মুহূর্তের ঝলক।
ক্যাপশনে মান্যতা লিখেছেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী এবং জীবনে ভরপুর, আমার সাপোর্ট সিস্টেম, আমার সেরা অর্ধেক তুমি। তোমার অন্তরে যে আলো আছে সেটা দিয়েই সব বাধা, কঠিন পরিস্থিতি আর চ্যালেঞ্জ পার করব। তোমার মধ্যে অদ্ভূত ক্ষমতা রয়েছে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসার। এইরকমই থেকো…’।
মান্যতা আরও লেখেন, ‘তুমি শুধু আমার কাছেই বিশেষ নয়, আরও অনেকের কাছে তুমি স্পেশ্যাল। যারা তোমাকে ভালোবাসে অন্তর থেকে। আমার স্টার, এইভাবেই আলো হয়ে জ্বলো, অনেক ভালোবাসা’।
সঞ্জয় দত্ত ও তার প্রথম স্ত্রী রিচার এক কন্যা সন্তান রয়েছে ত্রিশলা। মার্কিন মুলুকে থাকে সে। মান্যতার সঙ্গেও তিক্ত নয় ত্রিশলার সম্পর্ক। ২০০৮ সাত পাতে বাঁধা পড়েন এই দম্পতি। সঞ্জয়ের তুলনায় ১৯ বছরের ছোট তার স্ত্রী।
বিয়ের আগে একসঙ্গে ছবিতে কাজ করেছেন এই জুটি। অভিনয়ের সুবাদেই পরিচয় সঞ্জয় এবং মান্যতার। সেখান থেকে বন্ধুত্ব এবং পরবর্তীতে সম্পর্কে জড়ানোর পর বিয়ে করেন তারা।
মাঝে ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল সঞ্জয় দত্তের শরীরে। সেই সময় ছায়ার মতো তার সঙ্গে ছিলেন মান্যতা। দীর্ঘ চিকিৎসার পর অভিনেতা অনুরাগীদের আশ্বস্ত করেন তিনি ক্যানসার মুক্ত এবং সম্পূর্ণ সুস্থ। তার জীবনে স্ত্রী মান্যতার অবদান কখনও অস্বীকার করেন না সঞ্জয়।