ভালোবেসে ২০০৯ সালে স্বামী টিম্মি নারংকে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেত্রী ইশা কোপিকর। তিন বছর সম্পর্কে থাকার পর সাতপাকে বাঁধা পড়েন তারা। তাদের সংসারে রিয়ানা নামের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। প্রায় ১৪ বছর দাম্পত্য জীবন বেশ ভালোই কাটে এই দম্পতির। এরপরেই তাদের সংসারে হানা দেয় বিচ্ছেদের সুর। তবে অভিনেত্রী নাকি সংসার ভাঙতেই চাননি। তবুও বিচ্ছেদ হয়েছিল ইশা-টিম্মির।
জানা গেছে, মেয়ে রিয়ানাকে নিয়ে নাকি শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন ইশা। এরপরেই বিচ্ছেদ হয় তাদের। যদিও সংসার ভাঙার পর কারণ নিয়ে সেভাবে কিছু জানাতে চাননি অভিনেত্রী। সেসময় ইশা বলেছিলেন, এত তাড়াতাড়ি আমার বলার কিছুই নেই। ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই রাখতে চাই। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে ইশা বলেন, বিয়ে ভাঙতে চাইনি। পুরোটাই আমার স্বামীর হঠকারিতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণেই হয়েছে। আমি আসলে বুঝতেই পারেনি বিয়েটা কেন ভাঙল। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত একেবারেই আমার স্বামীর ছিল। আমরা মানুষ হিসেবে একে অপরের থেকে অনেকটাই আলাদা। অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠতে পারেনি। আজও বিয়ে ভাঙার কারণ খুঁজে বেড়াই আমি।
তিনি আরও বলেন, আমি হয়তো ওর সঙ্গে বিয়েটা ভাঙতে নাই পারতাম। সেটাই বরং আমার জন্য সহজ হতো। কিন্তু সেটা আমার মূল্যবোধের সঙ্গে বিপরীতধর্মী। তাই আলাদা হয়ে যাওয়াটা সমীচীন। একসঙ্গে থেকে প্রতিনিয়ত ঝগড়া করা আসলে অর্থহীন।
আক্ষেপের সুরে মেয়ে রিয়ানার বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, আমি চেয়েছিলাম ধীরে ধীরে মেয়েকে পুরোটা বোঝাতে। কিন্তু স্বামীর হঠকারিতা সেই সময়টাও আমাকে দেয়নি।
প্রসঙ্গত, তেলুগু সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন ইশা। ২০০০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘ফিজা’। এরপর ‘পিয়ার ইশক অর মহব্বাত’, ‘কোম্পানি’, ‘কেয়ামত’, ‘কাঁটে’, ‘দিল কা রিশতা’, ‘ডরনা মানা হ্যায়’ ‘কৃষ্ণা কটেজ’সহ একাধিক হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেন ইশা। ‘কোম্পানি’ সিনেমার ‘খাল্লাস’গানে তার আবেদন এখনও দর্শকের মনে দাগ কেটে আছে। তবে বিয়ের পর থেকে সেভাবে হিন্দি সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে।