হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পালিত হয়ে আসছে পহেলা বৈশাখ। পুরাতন সব গ্লানি ভুলে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় প্রতিবছরই আয়োজিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু এ বছর দিনটি পালিত হচ্ছে না।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অঘোষিত লকডাউনে আছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি ভাবে এবছর কোনরকম গণজমায়েত ও আড়ম্বরতা ছাড়াই বর্ষ বরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকদের ভিডিও কনফারেন্সে নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।
১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বৈশাখবরণের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে । শুধু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চলাকালে বৈশাখবরণ অনুষ্ঠানটি হয়নি। এবারও বর্ষবরণের প্রস্তুতিও শুরু করেছিল ছায়ানট। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০১৬ সালে ইউনেসকোর অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। সাধারণত মার্চের ১৪ তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। কিন্তু এ বছর কোনো কার্যক্রম নেই।
শুধু রমনা কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণই নয় দেশের কোথাও এবার এই উৎসবে মেতে উঠবেনা বাঙালি। শোভাযাত্রা কিংবা বটমূলে সন্মিলিত প্রার্থনা সঙ্গীতের আয়োজন না থাকলেও চলমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে নতুন করে নতুন বছর শুরু করার প্রাথনা সবার।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি