চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও আলোচিত হিরো আলমের পারস্পারিক দ্বন্দ্বে গেল কিছুদিন সরব ছিল সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম। তাদের সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে এগিয়ে এসেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা অনন্ত জলিল। সমঝোতা করাতে উদ্যোগী ভূমিকাও নিয়েছিলেন নায়ক অনন্ত।
গেল মাসের মাঝামাঝি সময়ে সমালোচিত ইউটিউবার হিরো আলমকে নিজের অফিসে ডেকে ছিলেন প্রযোজক, অভিনেতা অনন্ত জলিল। মিউজিক ভিডিও থেকে আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে উঠে আসা হিরো আলমকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। লুক টেস্ট ও ফটোশুটও করিয়েছিলেন।
সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। তবে জায়েদ ও হিরো আলমের সমঝোতা করিয়ে দেয়ার পরও হিরো আলম আবারও জায়েদ খানের সমালোচনা করতে শুরু করেন। এরই মাঝে গেল ১৬ জুলাই হিরো আলমের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলে সিনেমা থেকে তাকে বাদ দেয়ার ঘোষণা দেন অনন্ত জলিল।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লেখা এক স্ট্যাটাসে অনন্ত জানান, ‘সিংহভাগ বিনোদন সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র পরিবারের গুণীজনরা হিরো আলমকে নিয়ে সিনেমা বানানোর বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন।’ সম্প্রতি হিরো আলমের কিছু আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবাই আবারও অনন্তকে নিষেধ করেন হিরো আলমকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ না করতে।
এ প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল আরও লেখেন, ‘আমি চাইছিলাম তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সহযোগিতা করার, যাতে তার উপকার হয়। এ ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মানুষের সঙ্গে আমার কাজ করা সম্ভব না। তার এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমি আর তাকে নিয়ে সিনেমা বানাবো না। পঞ্চাশ হাজার টাকা সাইনিং মানি যেটি দিয়েছি, সেটি আমি চাইছি না। সেটি তাকে দিয়ে দিলাম।’
চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের ভাষ্য, চলচ্চিত্রের কোনো সংগঠনই চাচ্ছে না যে অনন্ত জলিল হিরো আলমকে নিয়ে কোন সিনেমা নির্মাণ করুক। চলচ্চিত্রের প্রত্যকটি সংগঠনের সম্মানার্থে তিনিও চান না বিতর্কিত কাউকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে। এদিকে, নিজের বাদ পড়া নিয়ে ফেসবুকে হিরো আলম বিষয়টিকে ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ বলে উল্লেখ করেছেন।