মাধুরী দীক্ষিত বলিউডের এমন এক অভিনেত্রী যার সবগুলো গুণই দর্শকদের মন কেড়েছে। মাধুরীর সৌন্দর্য্য, অভিনয় দক্ষতা, মন মাতানো নৃত্য সবই অসাধারণ। সেই “ধাক ধাক কারণে লাগা” থেকে শুরু করে বর্তমানের “ঘাগরা” পর্যন্ত মাধুরীর দাপটে আজও কাঁপে বলিউড। সম্প্রতি পূর্ণ হলো বলিউডে তার ক্যারিয়ারের ৩৬ বছর।
১৯৮৪ সালে বয়স যখন ১৭ তখন অবোধ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে পা রাখেন তিনি । অবোধ’ ছবিতে তাপস পালের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন মাধুরী ৷ ছবিটি বক্স অফিসে তেমন না চললেও, তাপস ও মাধুরীর জুটি প্রশংসা পায় সমালোচকদের কাছে ৷
তেজাব’ সিনেমার এই গান মাধুরী দীক্ষিতকে এনে দিয়েছিল ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এরপর এক দুই তিন করে তিনি রুপালি পর্দায় বারবারই ছাড়িয়ে গিয়েছেন নিজেকে। ১৯৮৮ সালে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে এই গানটি সেরা কোরিওগ্রাফির সম্মান পায়।
‘বেটা” ছবির জনপ্রিয় গান ”ধক ধক করনে লাগা”, আজও প্রতিটা মানুষের ঠিক ততটাই প্রিয়। এই গানে মাধুরীর বিপরীতে দেখা গিয়েছিল অভিনেতা অনিল কাপুরকে। এই গানের পরেই তিনি ”ধক ধক গার্ল” হিসাবে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায় গানটি মাধুরীর ক্যারিয়ারের মাইল ফলক হিসেবে ধরা হয়। সেই সময় মাধুরী বলিউডে একেবারে নতুন। তখন সঞ্জয়ের সাথে মাধুরীর প্রেমের গুঞ্জনে মুখর বলিউড। এমন সময় সঞ্জয়ের সাথে জুটি বেঁধে তিনি গানে পারফর্ম করেন। মাধুরীর আকর্ষণীয় নাচ মিলিয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গানটি।
সঞ্জয় লীলা বানশালির দেবদাস সিনেমার ‘মার ডালা এবং ঐশ্বরিয়ার সাথে যুগলবন্দীতে ‘ডোলা রে ডোলা গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় মাধুরীর আকর্ষণীয় নাচের কারণে। তবে সবথেকে আলোচিত ঐশ্বরিয়ার সাথে যুগলবন্দীতে ‘ডোলা রে ডোলা’গানটি।
এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই তিনি নির্মাতা ও দর্শকদের কাছে নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। রুপালি পর্দায় মাধুরী যেন নিজেই হয়ে উঠলেন নিজের ব্র্যান্ড।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছয়বার পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ২০০৮ সালে তার হাতে ওঠে পদ্মশ্রী পুরস্কার। মাধুরীকে গতবছর দেখা গেছে ‘কলঙ্ক এবং ‘টোটাল ধামাল সিনেমায়। বর্তমানে তিনি নিজের প্রযোজনার প্রথম ছবি ‘পঞ্চক এর কাজ করছেন।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি