পপির জন্ম ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর খুলনায়। লাক্স আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। ১৯৯৭ মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত কুলি চলচ্চিত্রে ওমর সানির বিপরীতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। প্রথম সিনেমাই ব্যবসা সফল।
এরপর একের পর এক ব্যাবসা সফল ছবিতে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে যায়গা করে নেন পপি। চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য, আবেদনময়ী উপস্থিতি ও সাবলিল অভিনয় দিয়ে অল্পদিনেই অর্জন করেন জনপ্রিয়তা।
২০০৩ সালে অভিনয় করেন কালাম কায়সার পরিচালিত কারাগার ছায়াছবিতে। এতে এক টোকাই চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৬ সালে কথাসাহিত্যিক আসকার ইবনে শাইখ রচিত গল্প অবলম্বনে নির্মিত ছায়াছবি বিদ্রোহী পদ্মায় তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। এই বছর আরও মুক্তি পায় ফেরদৌসের বিপরীতে সামিয়া জামান পরিচালিত রানীকুঠির বাকী ইতিহাস।
২০০৮ সালে নারগিস আক্তার পরিচালিত এইডস বিষয়ক সচেতনতামূলক ছায়াছবি মেঘের কোলে রোদ ও চন্দন চৌধুরী পরিচালিত কি যাদু করিলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মেঘের কোলে রোদ চলচ্চিত্রের জন্য দ্বিতীয় বারের মত তিনি অর্জন করেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০০৯ সালে সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত গঙ্গাযাত্রা ছবিতে অভিনয় করে তৃতীয় বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান অর্জন করেন পপি।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি টেলিভিশন নাটক ও টেলিফিল্মে ও অভিনয় করেছেন তিনি। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পপির জন্মদিন ১০ সেপ্টেম্বর।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি