বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, হাসিনা দেশকে ধ্বংস করার জন্য এমন কিছু বাকি নেই যা তিনি করেননি। কারণ তার কাছে ক্ষমতাই বড় ছিল। ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে তিনি একের পর এক গুম-খুন করেছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে “ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। শেখ হাসিনা সরাসরি নির্দেশ দিয়ে দেশের ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জাতিসংঘ অনুরোধ করেছে।” এটি দেশের জন্য এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুরে লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে অতিথিরা বার্ষিক ক্রীড়ার বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এ্যানি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি একটি দালিলিক প্রমাণ। এই দলিল বাংলাদেশ সরকারকে সংরক্ষিত করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানোর জন্য পাঠ্যপুস্তকে এই দলিল লিপিবদ্ধ করতে হবে। যদি এ সরকার না করে, ইনশাআল্লাহ এ দেশে একটা নির্বাচন হবে। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই দেশে স্বাভাবিক নিয়মে একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সেই সরকারের নেতৃত্ব দেবে, ইনশাআল্লাহ। তখন জাতিসংঘের ঐতিহাসিক দলিল আগামী দিনের পাঠ্যপুস্তকে রাখার ব্যবস্থা আমরা করবো। যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর এ দেশের মানুষ যেন এ অপকীর্তি, গুম-খুন, দুর্নীতির সঙ্গে অবহিত থাকে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মের মাঝে যে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়েছে, তা অনুভব করার মতো। এটি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার পরও তারা পিছপা হয়নি। তাদের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও অভিভাবকরা ছিল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাহাব উদ্দিন সাবু, হাসানুজ্জামান চৌধুরী মিন্টু, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন ও বিদ্যালয়ের আজীবন সদস্য আলমগীর হোসেন রাজু প্রমুখ।