পাল্টাপাল্টি হামলায় কয়েক দিনের উত্তেজনার পর পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়েছে। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার–উল–হক কাকারের কার্যালয় এ কথা জানিয়েছে।
সম্প্রতি ইরান ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। পাল্টাপাল্টি হামলার প্রতিক্রিয়ায় দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদেরও প্রত্যাহার করা হয়।
পাকিস্তানের ভাষ্য অনুসারে, আলোচনা শেষে এখন দুই দেশের রাষ্ট্রদূত আবারও নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে শুক্রবার পাকিস্তান বলেছে, তারা সব বিষয় নিয়ে ইরানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ফোনালাপের পর এ কথা জানায় দেশটি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, দুই পক্ষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে প্রত্যাহার হওয়া দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রথম হামলা চালায় তেহরান। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান। তেহরান থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান।
পাকিস্তান বলছে, ইরানের হামলায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। আর ইরান বলছে, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় চার শিশুসহ ৯ জন নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান ও ইরান—এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এমন এক সময় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যখন কয়েকটি সংকটকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে।
একদিকে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। লেবাননে ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গেও ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। আবার ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা ইরানসমর্থিত গোষ্ঠীগুলো মার্কিন বাহিনীগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। ইয়েমেনে ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। হুতিরা আবার লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।