পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন ও কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পেনশন স্কিম ও কোটা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থবিরতা চলছে। সে বিষয়ে কী ভাবছেন- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে, আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, তারা যেই ইস্যুতে আন্দোলন করছে সেটা তো সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল, আদালত ভিন্ন রায় দিয়েছে। আদালতের ব্যাপারটা আপিল বিভাগে আছে। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে তো আমার কথা বলা উচিত নয়। এটা এখন আদালতের এখতিয়ার।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ে আন্দোলন করছে সে সিদ্ধান্ত সরকারেরই ছিল চলমান। আমরা তো এ সিদ্ধান্ত দেইনি, দিয়েছেন আদালত। তারপরও আমরা আমাদের দেশের ব্যাপার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
শিক্ষকদের সঙ্গে দ্রুততম সময়ে বসবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসিটা কখন হবে সেটা আমি এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে সময়মতো সমাধান হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে আসার পর বিএনপিসহ বিরোধীরা যখন সমালোচনা করল, তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল- তারা না পড়ে না বুঝে এ কথা বলছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি সে কথাও বলব না। আমি বলব আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি ও সমমনা দল নিজেরা পারে না, আজকে তারা পরজীবী আন্দোলন করছে। এটাকে তাই বলতে হবে কোটার ওপর ভর করেছে, পেনশনের ওপর করেছে। নিজেরা ব্যর্থ, অন্যদের ওপর ভর করে আজকে শিকার করতে চায়। তারা স্বপ্ন দেখছে তো, দিবাস্বপ্ন।