ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। তবে কোথাও ভোগান্তি কমেনি। অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও মানুষ রয়েছে। সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ও চরদরবেশ ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
বন্যায় রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় দাগনভূঞার সিন্দুরপুর ইউনিয়নে পাওয়ার ট্রলি, ট্রাক এসব বাহন দিয়েও খাবার পৌঁছানো যাচ্ছে না। ফলে চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে এসব এলাকার মানুষ। একই অবস্থা ফেনী সদরের ধলিয়া মোটবী, পাঁছগাছিয়া, লেমুয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, ফেনী শহরের প্রধান সড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও নাগরিক সুবিধার একদম কিছুই চালু হয়নি। এক সপ্তাহ পরও নেই বিদ্যৎ, ইন্টারনেট, গ্যাস সংযোগ। শুধু পানির পরিমাণ কমেছে। নিরুপায় হয়ে আটকে থাকা মানুষ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। ফেনী শহরের পূর্ব উকিল পাড়া, পশ্চিম উকিল পাড়া, পেট্রোবাংলা, পাঠানবাড়ি, একাডেমিসহ এখনও বহু এলাকার মানুষ এখনও পানিবন্দি। এদের অনেকে কোনো ধরনের ত্রাণ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন।
অন্যদিকে, শুরুতে প্লাবিত হওয়া ফুলগাজী পরশুরাম ছাগলনাইয়া উপজেলায় কোথাও কোথাও এখনও পানি রয়েছে। যেখানে পানি নেমেছে সেখানে ক্ষতচিহ্ন দৃশ্যমান হচ্ছে। বর্তমানে ছাগলনাইয়া উপজেলার বেশকিছু গ্রামে এখনও কোমর সমান পানি রয়েছে।
এ বিষয়ে ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার জানান, ফেনীতে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি ছিল। বর্তমানে সেখান থেকে কিছুটা কমেছে। এরমধ্যে দেড় লাখ মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। বানভাসী মানুষের কাছে খাবার পৌঁছানো হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে করে খাবার দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলায় একটি ও এবং ৬ উপজেলায় ৬টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি ৭টি হাসপাতালে মেডিকেল ক্যাম্প চালু করা হয়েছে।