গণভবনকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকেই গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপ দিয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গণভবন যেমন ছিল তেমন রেখে স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাসপূর্তি উপলক্ষে ‘শহিদি মার্চ’ প্রসঙ্গে রোববার এক ফেসবুক লাইভে গণভবনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে জাদুঘর করার প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেদিন গণভবনে ঢুকে উল্লাস করেন হাজার হাজার জনতা। সেই সঙ্গে তাদের গণভবন থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্রও নিয়ে যেতে দেখা যায়। অবশ্য পরবর্তীতে লুটে নেয়া অনেক আসবাবপত্র সংশ্লিষ্টদের কাছে ফেরত দিয়েছেন অনেকে।