অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর তাকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
প্রথমে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের এবং পরে গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নেন ফারুক-ই-আজম। শপথগ্রহণ শেষে বইয়ে সই করেন নতুন এ উপদেষ্টা।
এর আগে গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ জন উপদেষ্টা শপথ নেন। তারপর রোববার (১১ আগস্ট) আরও দুই উপদেষ্টা শপথ নেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৭ উপদেষ্টার মধ্যে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম যুক্তরাষ্ট্রে থাকার কারণে শপথ নিতে পারেননি। তিনি রোববার রাতে দেশে ফিরেন।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে নৈরাজ্য পরিস্থিতির মধ্যে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে।
‘আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন যে আমি অমুক, আমি তমুক। এটা আবার পুরানো খেলা চলে গেলেন। আমাদের শিকার করার জন্য যারা বসে আছে তারা শিকার করবে। আপনারা বলুন যে আপনারা মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ। আমার সাংবিধানিক অধিকার আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন।’
ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, আপনারা ক্ষোভের মধ্যে চলে যাইয়েন না। ক্ষোভের মধ্যে গেলেই বিভিন্ন রকম মারামারি লেগে যায়। একত্রে আসনে। এক আইন। বলেন যে, আমাদের আইনের অধিকার দিতে হবে। আজকে যেটা বললেন যে, আইনের অধিকার পাই না। বিচার পাই না। এটাই হলো আসল জিনিস। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক যে আয়োজন করেছি, এটা বায়াস্ট একটা আয়োজন। একটা খুঁড়তে আরম্ভ করবেন, তারপর তারা মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের নিয়ে যাবেন না।