ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছি: প্রধানমন্ত্রী, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতেও ভয় পেতেন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১০ জনের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। যে জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই স্লোগানকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সে সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের এবং সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সরকার গঠনের পর আবারও হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। এখন ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, জয় বাংলা স্লোগান জাতীয় স্লোগান হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে যে মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসেছিল, তারাও এ দেশে একাত্তরের মতোই গণহত্যা চালিয়েছিল। আমাদের সেনা অফিসারদের একের পর এক হত্যা করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং এরপরে নির্বাচনী প্রহসন, দল গঠন, দল ভাঙন। নানান ধরনের খেলা ২১টি বছর আমাদের ওপর চলেছে।
সরকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এই বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। প্রতি ঘরে ঘরে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। শিক্ষার হার বৃদ্ধি করেছি, দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি, উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
আড়ও পড়ুন: রমজানে পেট ভালো রাখতে কী করবেন
ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছি: প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে সারা বিশ্বেই। তবুও আমাদের দেশের মানুষের যেন সমস্যা না হয় সেজন্য এই রমজান মাসে আমরা বিনা পয়সায় খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাছে আহবান জানিয়েছি যে, ইফতার পার্টি না করে ইফতার সাধারণ মানুষের মাঝে বণ্টন করতে। ইফতার পার্টি খাওয়াটা বড় কথা নয়, মানুষকে দেওয়াটাই বড় কথা। এভাবেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের লক্ষ্য আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।