বিএনপির নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে এখন তারা ডাক্তার হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আগেও অসুস্থ ছিলেন, আমাদের দেশে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। তখনও বিএনপি খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর জন্য ধোঁয়া তুলে ছিলেন। খালেদা জিয়াকে বিদেশে না পাঠালে বাঁচানো যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে তখনও দেশের চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। তখনকার মতো এবারও একই ধোঁয়া তুলছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির এ পুরো দাবিটাই হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্য যে রাজনৈতিক দাবি সরকার সে দাবিতো মানতে পারে না। কারণ তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। অবশ্যই খালেদা জিয়া যেন সুচিকিৎসা পান সেটা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রয়োজনে খালেদা জিয়ার কি হয়েছে সেটার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড হতে পারে।
সংসদ সদস্যদের (এমপি) পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের সব মিলিয়ে ছয়জন এমপি রয়েছেন। তারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে পদত্যাগ করবেন। তাদের বক্তব্যে আমার মনে হচ্ছে, দেশের আর কোনো সমস্যা নিয়ে তারা চিন্তিত না। দেশে আর কোনো সমস্যা নেয় একমাত্র খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যটাই একমাত্র সমস্যা। এনিয়েই শুধু তারা ব্যস্ত রয়েছেন।
এ মুহুর্তে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে বিএনপি রাজ পথে আছে যদি তারা বিশৃঙ্খলা করে সে ভয়ে জনগণও জিম্মি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে এ বিষয়ে আপনারা কি ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমতো তারা এ ধরনের দাবি বহুবার উপস্থাপন করেছেন। মাঝে-মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টাও তারা চালিয়েছেন। এবার যদি বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টা করা হয় জনগণ সেটি কঠোর হস্তে প্রতিহতো করবে এবং সরকার জনগণের সঙ্গে থাকবে