পদ্মা নদীতে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ সে.মি পানি হ্রাসসহ গত ৪দিনে ৯৫ সে.মি. পানি কমে নাব্যতা সংকট আরো প্রকট রুপ নিয়েছে।
১২ ঘন্টা সকল ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার সকাল ৮ টা থেকে সীমিত আকারে কোনমতে হালকা যানবাহন নিয়ে ৩/৪ টি ছোট ও মাঝারী ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এসকল ফেরিতে এ্যাম্বলেন্স সহ জরুরী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এদিকে টানা অচলাবস্থায় উভয় ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে যাত্রী ও শ্রমিক দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। এরআগে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৫ ঘন্টা সকল ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদী শিমুলিয়া অংশে ২০ সে.মি পানি হ্রাস পেয়েছে। এ নিয়ে গত ৪ দিনে ৯৫ সে.মি পানি কমলো। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ন এ নৌরুটের লৌহজং টার্নিং এ তীব্র নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। একদিকে পানি কমায় অপরদিকে উজানের নদী ভাঙ্গনের পলি পড়ায় লৌহজং টার্নিং এ বড় ধরনের ডুবোচর জেগে উঠায় নৌ চলাচলে গত ৪দিন ধরেই চরম বিঘ্ন ঘটছিল।
রোববার রাতেই বন্ধ করে দেয়া হয় রো রো ফেরি। সোমবার সকাল থেকে ৮/৯ টি ফেরি কোনমতে হালকা যানবাহন নিয়ে চললেও বিকেলে সকল ফেরি বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৫ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে ৪/৫ টি ছোট মাঝারী কেটাইপ ফেরি হালকা যানবাহন নিয়ে চলাচল শুরু করলেও রাত ৮ টার দিক আবারো ফেরি বন্ধ করে দেয়া হয়।
১২ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার সকাল ৮ টা থেকে হালকা যানবাহন নিয়ে ৩/৪ টি ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ফেরিগুলোর তলদেশ ডুবোচরে ধাক্কা লাগছে। মঙ্গলবার দুপুরে কেটাইপ ফেরি কুমিল্লা ডুবোচরে প্রায় ১ ঘন্টা আটকে ছিল । পরে ভেকু দিয়ে বালু অপসারন করে ফেরিটি উদ্ধার করা হয়। লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে তীব্র স্রোত থাকায় ড্রেজার স্থাপন কঠিন হয়ে পড়ায় সংকট ঘনিভূত হচ্ছে। ফলে এ রুটের ফেরিগুলোকে ঘাট এলাকায় নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। উভয় ঘাটে ৮ শতাধিক যানবাহন আটকে যাত্রী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার আঃ সালাম বলেন, ১২ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর হালকা যানবাহন নিয়ে কয়েকটি ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে। নাব্যতা সংকট নিরসনে ড্রেজিং চলছে। সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিনাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যাত্রী ও যানবাহনগুলো এ রুট বাদ দিয়ে বিকল্প রুট ব্যবহার করলেই ভোগান্তি এড়াতে পারবেন। এ সময়ে তাদের বিকল্প রুট ব্যবহার করা উচিত।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি