তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি’র মুখে নিরাপত্তাহীনতার কথায় জনগণ আতঙ্কিত হয়’।
আজ রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর নবনির্বাচিত পরিষদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন। ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান এসময় নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরেন ও মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তথ্যমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী ডিআরইউ’র নতুন পরিষদকে অভিনন্দন জানান এবং রিপোর্টারদের তারুণ্যদীপ্ত সংগঠন হিসেবে ডিআরইউ’র অব্যাহত অগ্রযাত্রা কামনা করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ঘরে বাইরে কারো নিরাপত্তা নেই’ এ মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা পেট্রোলবোমায় মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে এবং হাতে রক্ত ও আগুন নিয়ে মানুষকে প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলে, তারা যখন নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে তখন মানুষ আতঙ্কিত হয়। মানুষ ভাবে, আবার কোনো পেট্রোলবোমা ধেয়ে আসছে কি না!’
মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাবো যে, মানুষকে জিম্মি করা, মানুষের ওপর হামলা করার রাজনীতি বন্ধ করুন। যদি পরিসংখ্যান নেন তাহলে দেখতে পাবেন, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল সেই সময় জননিরাপত্তা যতটুকু ছিল বাংলাদেশে তারচেয়ে আজকে অনেক ভালো জননিরাপত্তা আছে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালিরা স্বাধীনতা পেয়েছে। আর ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করলেও প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে ১০ জানুয়ারি। কারণ পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১০ জানুয়ারি যদি তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসতে না পারতেন, তাহলে আমরা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বটাকে কতটুকু রক্ষা করতে পারতাম, সেই প্রশ্ন আমার মনে।’
উল্লেখ্য, এদিন সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে পুষ্পঅর্পণ করেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ ক্যাপিটল হিলের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাপিটল হিলের ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক, অনভিপ্রেত এবং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ইতিহাসের জন্য কলঙ্ক। তবে এতোকিছুর পরও সেখানে যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকেই সেখানকার সংসদ অর্থাৎ কংগ্রেস এবং সিনেট অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ সেখানে এতো কিছুর পরও গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।’
সেইসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশ এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ভূমিকা আছে।’
মেয়র তাপস ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্য। এখানে দলের কোনো কিছু নেই।’ আর নোয়াখালীতে মির্জা কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এমন বক্তব্য আমাদের দলে এর আগেও বহুজন দিয়েছেন। আমাদের দলে মুক্তভাবে কথা বলার অধিকার আছে, সেটিরই বহিপ্রকাশ হচ্ছে মির্জা কাদের সাহেবের বক্তব্য।’
ডিআরইউ’র অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুল, যুগ্ম-সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, অর্থ সম্পাদক শাহ আলম নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, দপ্তর সম্পাদক মো: জাফর ইকবাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক হালিম মোহাম্মদ, ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিসা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন, কার্যনির্বাহী সদস্য এম এম জসিম, আজিজুর রহমান, রুমানা জামান, রফিক রাফি, নার্গিস জুঁই ও জাহাঙ্গীর কিরণ সভায় অংশ নেন।