খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি খ্রিস্টান কমিউনিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
চার্চে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনের জন্য খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান আইজিপি। তিনি বলেন, কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে আপনারা তাকে ধরে ফেলবেন। আর ধরতে না পারলে চিনে রাখবেন, পুলিশ তাদের আটক করবে। তিনি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগেরও অনুরোধ জানান।
আইজিপি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
পুলিশ প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সুযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার মনিটরিং ও পেট্রোলিং বৃদ্ধি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
তিনি কক্সবাজারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেন।
সভায় থার্টিফার্স্ট নাইট এবং ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের ন্যায় এবারও বড়দিন আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, এটিইউর অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও এবং খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।