অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশের ছয়টি সেক্টরের সংস্কার নিয়ে ছয়টি কমিশনের কার্যপরিধি এখনও ঠিক করা হয়নি। তারা প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই কমিশনগুলোতে সাচিবিক সহায়তা দেবে। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সম্মেলন শেষে কমিশনগুলোর টার্ম অব কন্ডিশন ঠিক করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কমিশনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্যান্য সদস্য ঠিক করা হবে। আমরা আশা করছি তিন মাসের মধ্যে কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন দিতে পারবে।
এরশাদ সরকারের সময় এ ধরনের কমিশন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কমিশনের প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। এবারও সেরকম কিছু হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরশাদ সাহেবের সময় আর এবারের বাস্তবতাটাও ভিন্ন, প্রেক্ষিতটাও ভিন্ন। কিন্তু এই প্রতিবেদন আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐক্যের ওপর। এ জন্য সংস্কারের বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাচ্ছি। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নিশ্চয়ই এ উপলব্ধি আসছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, এরশাদ সরকার করে যেতে পারেনি, তার ফল কী হয়েছে, এটা রাজনৈতিক দলগুলো দেখেছে। তারাও (রাজনৈতিক দল) কোনো সংস্কার করেনি। এর ফল কী হয়েছে, সেটাও ৫ আগস্ট জাতি দেখেছে। কোনো রাজনৈতিক দল নিশ্চয়ই অজনপ্রিয় হয়ে আবার একই রকম ফলাফল দেখতে চাইবে না। এ জন্য প্রথম থেকেই আমরা মতবিনিময়ে তাদের (রাজনৈতিক দল) অন্তর্ভূক্ত করেছি। একপর্যায়ে আমরা সংলাপে যাব। ওই সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে তারপরে আমরা নির্বাচনের কথা ভাবছি। রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছে যে, সংস্কারের পরে তারা নির্বাচন চায়।