বলিউড অভিনেত্রী-নির্মাতা পূজা ভাট। তার আরেক পরিচয় তিনি নির্মাতা মহেশ ভাটের কন্যা। নব্বই দশকে পূজার ক্যারিয়ার যখন মধ্যগগনে, তখন তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। ফিল্ম ফেয়ার ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে মহেশ ভাটের সঙ্গে পূজার চুমুর ছবি প্রকাশের পর এই বিতর্কের জন্ম হয়। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন তারা।
সেই সময়ে সংবাদ সম্মেলন করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন পূজা। বরং হিতে বিপরীত হয়। কারণ মহেশ ভাট বলে বসেছিলেন, ‘পূজা যদি আমার মেয়ে না হতো, তাহলে আমি ওকেই বিয়ে করতাম।’
পরিচালকের এই মন্তব্য আগুণে ঘি ঢালার কাজ করেছিল। নিন্দার রোষানলে পড়েছিলেন মহেশ-পূজা। তবে এরপর পুরোপুরি নীরব ভূমিকা পালন করেন মহেশ ভাট। পুরোনো সেই বিষয় নিয়ে নতুন করে আলোচনায় উঠে এলেন আলিয়া ভাটের বাবা। কয়েক দিন আগে জুম টিভিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মহেশ ভাট। এ আলাপচারিতায় নীরব থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।
মহেশ ভাট বলেন, ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি লাইন আছে, ‘নিষ্ক্রিয়তাই কর্ম’। আমি যখন এটা নিয়ে কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিই, তখন এটাই আমার ‘অ্যাকশন’ ছিল। সুতরাং ট্রলার বা আমার প্রতিপক্ষরা জানে যে আমি শক্তি থেকে এসেছি, কাপুরুষতা থেকে নয়। আমি কোনোদিন ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ ছিলাম না।’
মিডিয়া পূজার প্রতি ঘৃণা ছড়িয়েছিল, তারপরও নীরব ছিলেন মহেশ ভাট। সন্তানদেরকে কেন ‘রক্ষা’ করলেন না? এ প্রসঙ্গে মহেশ ভাট বলেন, ‘ওদেরকে আমার রক্ষা করার কিছু নেই। রক্ষা করার কী আছে? আমি যেমন নিজের যত্ন নিয়েছি, তেমনি আমার সন্তানেরাও নিজের যত্ন নেবে।’
গত বছরের শেষের দিকে সিদ্ধার্থ কান্নানকে সাক্ষাৎকার দেন পূজা ভাট। এ সময় পূজাকে প্রশ্ন করা হয়, বিতর্কিত সেই চুমুর ছবি নিয়ে অনুশোচনা হয় কিনা? জবাবে পূজা বলেছিলেন— ‘না। কারণ আমি এটিকে খুব স্বাভাবিকভাবে দেখি। দুর্ভাগ্যবশত, এটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রায়ই দেখবেন, আপনার সন্তান বলছে, মাম্মি-পাপা, আমাকে একটি চুমু দাও। এই বয়সেও আমি আমার বাবার কাছে ১০ পাউন্ডের একটি শিশু। আমার বাবা আমার কাছে এমনই থাকবেন।’
চুমুর ছবির ভিন্ন অর্থ দাঁড় করিয়েছিলেন মানুষ। তা উল্লেখ করে পূজা বলেছিলেন, ‘এটি এমন একটি মুহূর্ত ছিল, যা একেবারেই নিষ্পাপ। বিষয় যাই হোক না কেন, মানুষ সেটাকে নিজের মতো পড়বেন, নিজের মতো অর্থ দাঁড় করাবেন। এটা তো আমি বন্ধ করতে পারব না। আপনি যদি বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে অন্য দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন তাহলে আপনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবেন। তারপরও আমরা পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে কথা বলি।’