রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রোববার (১৩ অক্টোবর) বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির দৈনন্দিন কর্মসূচি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রোববার (১৩ অক্টোবর) হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানটি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, হিন্দু ধর্মীয় নেতা, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন কমিটি এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সঙ্গে মিশে আছে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সারাদেশে যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনন্য উদাহরণ।
তিনি বলেন, এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় আবহমানকাল ধরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষে সমাজের সকল স্তরের মানুষ একত্রিত হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ এ উৎসবকে সার্বজনীন রূপ দিয়েছে। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সত্য-সুন্দরের আলোকে ভাস্বর হয়ে উঠুক; ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুসংহত হোক- এ কামনা করি। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি আমাদেরকে মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় জান-মাল, অবকাঠামো, কৃষি ও প্রাণিসম্পদসহ সার্বিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বানভাসি মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মানব কল্যাণের জয়গানকে তুলে ধরেছে।