রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে উত্তর কোরিয়ায় গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) তিনি যান। পুতিনের এই সফর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন এক মাত্রা যোগ করবে। একই সঙ্গে বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে সবশেষ ২০০০ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পুতিন উ. কোরিয়ায় গিয়েছিলেন। তখন উ. কোরিয়ার নেতা ছিলেন বর্তমান নেতা কিম জং উনের পিতা কিম জং ইল। গত বছর সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে কিম জং উন যখন পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন, তখনই তিনি পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কোরিয়া সফরের।
সোমবার (১৭ জুন,২০২৪) ক্রেমলিন জানায়, ‘উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের আমন্ত্রণে ১৮ ও ১৯ জুন—এই দুই দিনের সৌজন্য সফরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে যাচ্ছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ-ও এই সফরের কথা প্রকাশ করেছে, তবে তারা বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
তবে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদপত্র রডং সিনমুন মঙ্গলবার এই সফর উপলক্ষে দেওয়া পুতিনের একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। সেখানে পুতিন লিখেছেন, ‘পশ্চিমা বিশ্ব বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে একতরফা ও অবৈধ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে, তার বিপরীতে আমরা একটা বিকল্প বাণিজ্য পদ্ধতি ও পারস্পরিক সমঝোতায় পৌছতে পারব। একই সঙ্গে আমরা ইউরেশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারস্পরিক সমতার ভিত্তিতে একটা রণকৌশল তৈরি করতে পারব।‘
এই চিঠিতে তিনি একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে চাপ প্রয়োগ করছে, ব্ল্যাকমেইল করছে এবং অব্যাহতভাবে সামরিক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, সেটি প্রতিরোধে রাশিয়া পিয়ংইয়ংকে সমর্থন দিয়ে যাবে।