শনিবার (১০ আগস্ট) দুুপুরে পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ সময় চিঠিতে পদত্যাগের কারণ হিসেবে বেশকিছু বিষয় উল্লেখ করেন তিনি।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, সুপ্রিমকোর্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়ি-ঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিগণকে শারীরিক হেনস্থা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্ট ও রেকর্ড রুম রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
অপরদিকে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজকের মধ্যে তারা সকলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন।
পদত্যাগ করতে যাওয়া আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি হলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
এর আগে, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে শনিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়া শুরু করেন। এরপরই প্রধান বিচারপতি এমন সিদ্ধান্ত নেন।
শনিবার সকালে সব বিচারপতির অংশগ্রহণে প্রধান বিচারপতির ডাকা সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে আদালত পরিচালনা করা যায় ও বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান বিচারপতি এই সভা ডেকেছিলেন বলে জানা যায়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, এভাবে আজ ফুলকোর্ট সভা ডাকা একটি ষড়যন্ত্র ছিল।