নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়লো, সেটি বাংলাদেশর অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে মোটাদাগে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এজন্য সরকারের প্রশংসা করেন তারা। মন্তব্য করেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে এদেশে।
ভোটগ্রহণ শেষে রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এ সময় নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বলেন, ভোটার এবং প্রার্থীর এজেন্টদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, আমরা সন্তুষ্ট।
ফিলিস্তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রধান হিশাম কুহাইল বলেন, আমরা বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়েছি। মানুষের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াও ভালো লেগেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।
ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতার কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি। সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত।
তিনি বলেন, আমি এখনও জানি না কত শতাংশ ভোট পড়েছে। সকালে যখন আমরা কেন্দ্র পরিদর্শন করি, তখন ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। মানুষ আশা করছিল উপস্থিতি বাড়বে। যদি বাধ্যবাধকতা না থাকে, আপনি কেন্দ্রে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং কেউ আপনাকে ভোট দিতে বাধ্য করতে পারে না। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের দেশে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই, তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারি না।
কম ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৫ বা ১৬ শতাংশ ভোট পড়লে সেটা নির্বাচন আয়োজকদের জন্য বার্তা। এর কারণ রাজনীতিকরা বিশ্লেষণ করবেন। আমি জর্ডানে অনেক নির্বাচন দেখেছি, সেখানে ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং সেটা ভালো নির্বাচন ছিল। তারপরও বিষয়টি দেখবেন রাজনীতিক ও গবেষণা সংস্থাগুলো।