রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে মুমিনের দরজায় পা রাখে পবিত্র মাহে রমজান। এই মাস আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অসীম রহমত ও বরকত নিয়ে আসে। রমজান মানেই আত্মার পরিশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাস।
এ মাসের অন্যতম প্রধান ইবাদত হলো রোজা রাখা। শরিয়তের ভাষায় রোজা বলা হয়, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার, যৌনকর্ম এবং আল্লাহ ও তার রসুলের নিষিদ্ধ যাবতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা ইবাদত বন্দেগীতে এই মাসটি কাটিয়ে থাকেন। শেষ রাতে জেগে ‘সেহরি’ খাওয়া, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও অন্যান্য নিষিদ্ধ কর্ম থেকে বিরত থাকা, সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা, তারপর রাতের একটি বিশেষ অংশ ‘তারাবি’ নামাজে অতিবাহিত করেন।
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান রমজানে রোজা রাখার চেষ্টা করেন। এক সাক্ষাৎকারে কিং খান নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা।
২০১৩ সালে ঈদে চেন্নাই এক্সপ্রেস মুক্তির পর ভক্তদের মুখোমুখি হন শাহরুখ। সে সময় এক ভক্ত তাকে প্রশ্ন করেন, রমজান মাসে রোজা রাখা হয় কি না?
জবাবে শাহরুখ খান বলেন, ‘হ্যাঁ রোজা রাখা হয়। তবে দুই-চারটা রোজা ছুটে যায়। কারণ আমাকে ব্যাথ্যার ওষুধ নিতে হয়। যখন পিঠের ব্যাথ্যা শুরু হয় তখন ওষুধ নিতে হয়, যে কারণে দু’ চারটা রোজা ছুটে যায়। তবে মাশাআল্লাহ, অধিকাংশ রোজাই রাখা হয়।’
ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময় কটাক্ষের মুখে পড়লেও বরাবরই নিজের অবস্থানে পরিস্কার ছিলেন শাহরুখ। ঈদের দিনেও ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় বলিউড বাদশাহকে। এমনকি রমজানে বিভিন্ন ইফতার পার্টিতেও দেখা মেলে কিং খানের।