আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর রংপুরে পাটের ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। বিশেষ করে জেলার মিঠাপকুর, পীরগাছা, কাউনিয়া, তারাগঞ্জসহ গঙ্গাচড়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পাট চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন পাট কাটা ও জাগ দেয়ার কাজে।
কিন্তু, মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধি-নিষেধের কারণে পাটের বাজারদর অনেক কম। পাটচাষিরা জানান, গত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে পাটচাষে খরচ বেড়েছে। ক্রেতা না থাকায় বাজারে দামও কমতির দিকে। তাই প্রণোদনাসহ পাটের সঠিক বাজারমূল্য নির্ধারণে সরকারের হস্তক্ষেপ চান তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এখনো পাট কাটা শেষ হয়নি। তবে, কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায়, সে ব্যাপারে সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
রংপুর জেলায় চলতি বছর ৯ হাজার ১৯৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটের মোড়কসহ বিভিন্ন কাজে পাটজাতীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়ালে পাটের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি লাভবান হবেন চাষিরা।